গ্রাফিক ডিজাইনিংয়ে আন্তর্জাতিক বাজারে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। আসছে বৈদেশিক মুদ্রা
গ্রাফিক ডিজাইনিং ও ইমেজ এডিটিংয়ে বিশ্বের অন্য দেশের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আন্তর্জাতিক বাজারে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ।
ফিলিপাইন ও ভিয়েতনাম দীর্ঘদিন ধরে আন্তর্জাতিক ক্লায়েন্টদের জন্য আউটসোর্সিংয়ের কাজ করছে। এখন বাংলাদেশও আন্তর্জাতিক ক্লায়েন্টদের কাছে সুপরিচিত। কারণ, স্বল্পমূল্য ও বৃহৎ আকারের কাজ করতে বাংলাদেশিরা সক্ষম।
সংশ্লিষ্টদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে দেশের গ্রাফিক ডিজাইনিং ও ইমেজ এডিটিং খাতে ১০০টিরও বেশি ছোট ও মাঝারি প্রতিষ্ঠানে কাজ করছেন ৭ হাজার জন। আরও ৫০ হাজার জন কাজ করছেন ফ্রিল্যান্সার হিসেবে।
ই-কমার্স, ক্যাটালগ, ব্রোশিওর, ম্যাগাজিন, প্রিন্টিং, সংবাদপত্র, সাইনবোর্ড ও ব্যবসায়িক কার্ডগুলোর জন্য ডিজিটাল ডিজাইনের ক্রমবর্ধমান চাহিদা স্থানীয় ফ্রিল্যান্সার ও সংস্থাগুলোর জন্য বিপুল পরিমাণ সুযোগ তৈরি করছে।
ক্যালিফোর্নিয়া-ভিত্তিক নিউজওয়্যার বিতরণ নেটওয়ার্ক গ্লোবনিউজওয়্যার জানিয়েছে, ২০২১ সালে বিশ্বব্যাপী আউটসোর্সিং ব্যবসায় বাজারের আকার ছিল ২৫১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ২০২৮ সালের মধ্যে তা ৪৯২ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছানোর আশা রয়েছে।
এ খাতে মূলত ২ ধরনের মানুষ কাজ করে। প্রথমত, ফ্রিল্যান্সাররা আপওয়ার্ক ও ফাইভারের মতো মার্কেটপ্লেসগুলোর সঙ্গে কাজ করে। আর অন্যরা ছোট বা মাঝারি প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে যুক্ত হয়ে কাজ করে। তবে, যেহেতু এ খাতে প্রতিযোগিতা অনেক বেশি, তাই এ খাতের উপার্জন দক্ষতার ওপর নির্ভর করে।
ফ্রিল্যান্সারদের মতে, একজন দক্ষ গ্রাফিক ডিজাইনার ও ইমেজ এডিটর সহজেই মাসে লক্ষাধিক টাকা আয় করতে পারেন। তবে, যাদের দক্ষতা কম, তাদের জন্য মাসে ১৫ হাজার টাকা আয় করাও কষ্টসাধ্য।
উদ্যোক্তাদের মতে, একজন দক্ষ সফটওয়্যার ডেভেলপার হতে ২ বছরেরও বেশি সময় লাগে। কিন্তু, ইমেজ প্রসেসিংয়ের জন্য ৬ মাসের প্রশিক্ষণের পরেই একজন দক্ষ কর্মী পাওয়া যায়।